উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতায় বাংলাদেশের চার প্রস্তাব

উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নের জন্য চারটি প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। বুধবার (২৫ মে) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসক্যাপ) আয়োজিত ‘উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা’ শীর্ষক সেশনে বাংলাদেশ এসব প্রস্তাব দেয়।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফাইয়াজ মুরশিদ কাজি অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড ও ইউক্রেন সংকটের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রক্ষণশীল বাণিজ্য ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খাদ্য সংকটের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে এবং এটি রোধ করার জন্য ইউএনএসক্যাপ এবং সংশ্লিষ্ট উপ-আঞ্চলিক ফোরামগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। খাদ্য সংকটের কারণে এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে দেখছি আমরা।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘এবারের গ্রীষ্মে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়েছে এবং একই সঙ্গে বন্যার কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল নষ্ট হচ্ছে এবং মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের বিপরীতমুখি আবহাওয়া এখানকার দেশগুলোকে সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদে কার্বন নিঃসরন কমাবো। কিন্তু বর্তমানে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত যে চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি হচ্ছে, সেটিকেও মোকাবিলা করা জরুরি। এসব ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক জ্ঞান, কারিগরি জ্ঞান এবং বিশেষজ্ঞ সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

কানেক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল  টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক কো-অপারেশনকে (বিমসটেক) ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল কানেক্টিভিটির ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহী। এধরনের সহায়তার জন্য ডাটা প্রটেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক দেশগুলো একে অপরকে তথ্য এবং অন্যান্য সহায়তা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছে এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সব দেশের উচিৎ হবে উত্তরণ যেন মসৃণ হয় সেটির জন্য সহায়তা করা।’