এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবিগুলো জাতীয় সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকার বরাবরে একটি স্মারকলিপি নিয়ে বুধবার বিকেল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল সহকারে সংসদ অভিমুখে যাত্রা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির আহ্বায়ক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধপরাধী পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বিচারের দাবি ও তাদের প্রতীকী বিচারের যে কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে, তা পর্যায়ক্রমে সফলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে অপরাধীদের তালিকা সংগ্রহ ও তৈরি করতে গিয়ে পূর্বঘোষিত ১৯৫ জন সেনা কর্মকর্তার সঙ্গে পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর আরও ৫ জন কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছি। এর ফলে ১৯৭১ সালে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনা সদস্যদের সংখ্যা হলো ২০০ জন।
উল্লেখ্য, এর আগেও ২শ জনের নাম বিভিন্ন বইতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে নৌমন্ত্রী বলেন, এই তালিকার মধ্যে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের ঘটনাগুলোর নীল নকশা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্বের অভিযোগে অভিযুক্ত ৬৮ জন, জেনেভা কনভেনশনসহ আন্তর্জাতিক সব যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগে অংশ নেন ১১৮ জন, ব্যাপক গণহত্যায় অংশ নেন ১৪ জন। এই ১৪ জনের মধ্যে পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৩ জন এবং বিমানবাহিনীর ৩ জন কর্মকর্তা রয়েছে।’
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উল্লিখিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী সেনাদের বিচারের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, উল্লেখ করে নৌমন্ত্রী বলেন, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গঠিত তথ্য সংগ্রহ কমিটিকে আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। সংগঠনটির পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবি তুলে ধরা হয়। এরমধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা, নির্যাতন ও গণআন্দোলনের অবমাননা বা অস্বীকার করে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও শহীদদের অপমান করে বক্তব্য দেওয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’-এর আদলে আইন প্রণয়ন করা।
/ইউআই/এমএনএইচ/