বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: জাবি শিক্ষার্থীর ৭ বছর কারাদণ্ড

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী শামসুল আলম বাবুর ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৬ জুন) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামি শামসুল আলম বাবু রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আদালত সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রায়ের আদেশে বিচারক বলেন, আসামির বয়স মাত্র ২৩ বছর। স্বল্প বয়স বিবেচনায় তাকে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ (সংশোধিত/২০১৩)-এর ৫৭ ধারায় ন্যূনতম ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট জাবির সরকার ও রাজনৈতিক বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আল আমিন সেতু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইয়ের ওপর একটি কলাম পত্রিকায় প্রকাশ করেন। ওই লেখাটি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৩৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোরশেদুর আকন্দ ফেসবুকে পোস্ট করেন। ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় শামসুল আলম বাবু তার ‘মো. কবির মামু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে একটি মন্তব্য করেন। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন।

এ নিয়ে পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। আল আমিন সেতু লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে শামসুল আলম বাবুকে আটক করা হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. ইয়াকুব আলী মিয়া আসামি বাবুকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে এজাহার দাখিল করেন। এজাহারের সঙ্গে আসামি বাবুর ফেসবুক আইডি হতে দেওয়া বক্তব্যের হার্ডকপি এবং আল আমিন সেতুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল করা অভিযোগের কপি সংযুক্ত করা হয়।

এ ঘটনার পরের দিন ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট শামসুল আলম বাবুর বিরুদ্ধে সাভারের আশুলিয়া থানায় তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৬ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়। ওই বছরেরই ২১ জুলাই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন।