একটি গোষ্ঠী মিতু হত্যা মামলার বিচারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে: হাইকোর্ট

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়াকে একটি গোষ্ঠী বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে শিশু আইন অনুযায়ী সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে করা আবেদনের শুনানিতে মঙ্গলবার (৭ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠাত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

শুনানিকালে আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী মিতু হত্যা মামলার বিচারকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। তার পরিবারের কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই? আপনারা কি ন্যায়বিচার করতে দেবেন না? যিনি মারা গেছেন তার কি ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?’

এর আগে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে তারই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওই দিনই মামলাটিতে বাবুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পিবিআই। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।