এবারও হজে ই-ভিসা নিয়ে জটিলতা

হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরব সরকারের নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনলাইনে ভিসা আবেদন করে হজ এজেন্সিগুলো। ভিসা অনুমোদন হলে অনলাইন থেকে সেই ভিসা প্রিন্ট করতে হয়। আর এই ই-ভিসা প্রিন্ট করা নিয়ে জটিলতায় পড়েছে হজ এজেন্সিগুলো। অনলাইনে আবেদন করে ভিসা পাওয়া গেলেও অনেক সময় তা প্রিন্ট করা যাচ্ছে না। এ সংকট দ্রুত সমাধান না হলে হজযাত্রায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা হজ এজেন্সিগুলোর।

জানা গেছে, হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরব ২০১৫ সাল থেকে অনলাইনে ভিসা আবেদন ও ই-ভিসা চালু করে। সেই বছর থেকেই ই-ভিসা আবেদন ও ভিসা পাওয়া নিয়ে নানা জটিলতায় পড়তে হয়েছে। ২০১৫ সালে সার্ভারে ত্রুটির কারণে ভিসা পাওয়ায় অনেক হজ যাত্রী শিডিউল ফ্লাইটে যেতে পারেননি। এরপর প্রতি বছরই আবেদন করা থেকে ভিসা প্রিন্ট করা পর্যন্ত নানাধরনের জটিলতায় পড়তে হয়েছে।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ১০ জুন পর্যন্ত ৪ হাজার ২২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। আর মোট হজযাত্রীর ২১ দশমিক ৮৩ শতাংশের ভিসা হয়েছে।

হজ এজেন্সিগুলো জানিয়েছে, অনলাইনে ভিসা আবেদন করার পর ভিসা ইস্যু হলে সেটি প্রিন্ট করতে হয়। কিন্তু কোনও কোনও সময় ভিসা প্রিন্ট হয় না। তখন সেই সমস্যা সমাধান করতে সৌদি দূতাবাসে যেতে হয়। ফ্লাইটের আগে ভিসা না হলে অনেকের হজযাত্রা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। ভিসা প্রিন্টিং সিস্টেম সৌদি আরবের ঠিক না করলে এ নিয়ে ভোগান্তি দূর হবে না। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে শুক্র ও শনিবারসহ ছুটির দিনগুলোতে। ছুটির দিনে সৌদি দূতাবাস খোলা না থাকায় সেদিনগুলোতে কোনও কাজ হয় না।

এ বিষয়ে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, যথাসময়ে ভিসা প্রিন্ট করতে না পারলে হজযাত্রীদের নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়তে হচ্ছে। হজযাত্রীদের নির্ধারিত ফ্লাইটের যাওয়াও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। আমরা আশা করি, এ সমস্যা সমাধানে সৌদি কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।