ভিন্ন ভিন্ন কাউন্টার থেকে বাসে উঠতো তারা

দূরপাল্লার বাসে ডাকাতিতে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ১০ সদস্যকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার (১১ জুন) রাতে আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় তাদের।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— দলের সর্দার মোহাম্মদ হিরা শেখ ওরফে কালাম শেখ ওরফে সোলেমান শেখ, সহযোগী মো. হাসান মোল্লা ওরফে ইশারত মোল্লা, আরিফ প্রামানিক ওরফে আরিফ হোসেন (৩৩), মোহাম্মদ নুর ইসলাম (৫৩), মোহাম্মদ রাজু শেখ ওরফে রাজ্জাক (৫৫), মো. রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬), মো. শরিফুল ইসলাম (৩৯), মোহাম্মদ হানিফ (৪২), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।

তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, বাসের টিকিট ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মহিন রবিবার কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতির পরিকল্পনা করছিল। চক্রের সদস্য প্রায় ১৫ জন। সর্দার হীরা ও তার সহযোগী হাসান মোল্লাই মূল পরিকল্পনাকারী। দলটি দীর্ঘদিন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার যাত্রীবাহী বাসে উঠে ডাকাতি করে আসছিল। দুই বছরে তারা প্রায় ১৫টি বাসে ডাকাতি করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শ্যামলী পরিবহন, মামুন ট্রাভেলস, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও একতা ট্রাভেলসে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ‘চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে সৌদিয়া বাসে ডাকাতির সময় তারা চালক ও হেলপারের পেটে ছুরিকাঘাতও করেছিল।

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফাল্গুনী ট্রাভেলস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, কনক পরিবহন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সুরভী পরিবহন, হানিফ পরিবহন, সিলেট-রাজশাহী মহাসড়কের শ্যামলী পরিবহন, রইস পরিবহন, ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পাবনা এক্সপ্রেস, সরকার ট্রাভেলস, রাজশাহী-বরিশাল মহাসড়কের গ্রিনলাইন পরিবহন ও তুহিন পরিবহনেও ডাকাতি করেছে ওরা। তিন বছর আগে ঢাকা-দিনাজপুরের একটি বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনাও তারা ঘটায় বলে জানায় র‌্যাব।

IMG-20220612-WA0012

সবশেষ তারা ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি গাড়িকে ডাকাতির জন্য টার্গেট করে। কিছু সদস্য কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাসে ওঠে। বাকিরা পরে অন্য কাউন্টার থেকে টার্গেট করা বাসে ওঠে। সাধারণত মহাসড়কের নির্জন এলাকাগুলোতে তারা ডাকাতির জন্য বেছে নিতো। ডাকাতির পর তারা ফিরে আসতো আশুলিয়ায়।

এছাড়াও, বিভিন্ন সময় তারা বাসাবাড়িতেও ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করেছে র‌্যাবের কাছে। এমনকি আগে ডাকাতিসহ অন্যান্য মামলায় ২-৫ বছর করে জেলও খেটেছে তারা।