আনসার বিদ্রোহ

খালাসপ্রাপ্ত সক্ষমদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে আপিলের রায় ২ আগস্ট

১৯৯৪ সালের আনসার বিদ্রোহের ঘটনার মামলায় খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২ আগস্ট তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক। অন্যদিকে আনসার ভিডিপি মহাপরিচালকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এর আগে, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে ১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে বিদ্রোহে রূপ নেয়। সেনাবাহিনী, বিডিআর ও পুলিশের সহযোগিতায় একই বছরের ৪ ডিসেম্বর বিদ্রোহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

পরে ওই বিদ্রোহের ঘটনায় ভিডিপি কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ২ হাজার ৬৯৬ জনকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে চাকরিতে পুনর্বহাল করা হয়। একইসঙ্গে ২ হাজার ৪৯৬ জন আনসারকে চাকরিচ্যুত করা হয়

এদিকে বিদ্রোহের ঘটনায় পৃথক ৭টি ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর মধ্যে ১৩২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা বিচারে খালাস পান। এ অবস্থায় তারা চাকরি ফিরে পেতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। কিন্তু তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি।

তাই পরবর্তীতে তারা চাকরিতে পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সেসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ২৮৯ জন, ১০ জুলাই ১৪৪৭ জন এবং ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ৬৭৪ জনকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, “১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর সংঘটিত আনসার বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত আনসারদেরকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যাদের শারীরিক-মানসিক সক্ষমতা আছে তারাই চাকরি ফেরত পাবেন। কিন্তু যাদের সক্ষমতা নেই তারা যতদিন চাকরিতে ছিলেন তাদেরকে ততদিনের পেনশন সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। এ আদেশ তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে বলেন আদালত।

পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আনসার ভিডিপির মহাপরিচালক আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। সে আবেদনের শুনানি শেষ করে রায়ের দিন নির্ধারণ করলেন আপিল বিভাগ।