শেষ হলো ঢাবির ভর্তিযুদ্ধ

চারুকলা অনুষদভুক্ত চ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুক্রবার (১৭ জুন) শেষ হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি যুদ্ধ। চ-ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে প্রথম দেড় হাজার জনকে নিয়ে অঙ্কন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২ জুলাই।

সকাল সোয়া ১১টার দিকে কলাভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। পরিদর্শন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও অনুষ্ঠিত হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন উপাচার্য। বরাবরের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্য, মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রেখে পরীক্ষার্থীদের জন্য সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপাচার্য বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নিজ দায়িত্বে ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বৃষ্টি হলেও পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসার ক্ষেত্রে চলাচলে কোনও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা পরীক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে নিয়োজিত আছেন।

তিনি আরও জানান, চারুকলা অনুষদের ১৩০ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৭ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্য থেকে সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের প্রথম ১ হাজার ৫০০ জনকে অঙ্কন পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হবে। তাদের এই অঙ্কন পরীক্ষা আগামী ২ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা তৎপর রয়েছেন। তারা দ্রুতই ফল তৈরি করে যথাসময়ে প্রকাশ করবেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, চারুকলা অনুষদের ডিন ও চ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক নিসার হোসেন, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।

এদিকে পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী জানান, কিছুটা প্রতিকূল পরিবেশ থাকলেও এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলার কথা শোনা যায়নি। আশা করা যাচ্ছে, পরীক্ষা সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। যে কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের উপস্থিতি হাতে এসেছে তাতে বলা যায়, উপস্থিতি ৮৫-৯০ শতাংশ ছিল।