বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস পালিত

‘জাতিসংঘের ১০ বছর মেয়াদি মহাসমুদ্র পরিকল্পনায় হাইড্রোগ্রাফির অবদান’ এই প্রতিপাদ্যে  পালিত হয়েছে ‘বিশ্ব হাইড্রোগ্রাফি দিবস-২০২২’। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ জুন) বাংলাদেশ নৌবাহিনীর চিফ হাইড্রোগ্রাফারের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে নৌঘাঁটি ঈসা খান এরিয়া মাল্টিপারপাস হলে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর-আইএসপিআর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সেমিনারে টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনা, সমুদ্র বিজ্ঞানে স্যাটেলাইট প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত সমুদ্র দশকের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সমুদ্র বিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোচনা করা হয়। এছাড়া সেমিনারে হাইড্রোগ্রাফি সেবাকে কাজে লাগিয়ে জাতীয় হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নৌবাহিনীর চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমডোর এ কে এম সিরাফুল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাইড্রোগ্রাফি পরিদফতরের পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মিনারুল হক। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক কমিটির সদস্য, হাইড্রোগ্রাফিক ও মেরিটাইম সংস্থার প্রতিনিধি, বিভিন্ন সমুদ্রবন্দর, বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম রিসার্চ ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং হাইড্রোগ্রাফাররা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ২০০১ সালের ২ জুলাই আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার ৭০তম সদস্য দেশ হিসেবে হাইড্রোগ্রাফি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সমুদ্র দূষণের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাইড্রোগ্রাফিক তথ্য-উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্র অঞ্চলের সব হাইড্রোগ্রাফিক কর্মকাণ্ডের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থার মান অনুযায়ী, পেপার ও ইলেক্ট্রনিক নটিক্যাল চার্ট তৈরিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের মাধ্যমে নৌবাহিনী দেশের অধিকৃত সমুদ্র অঞ্চলের পেপার চার্ট ও নটিক্যাল চার্ট প্রকাশ করছে, যা সমুদ্রপথে নিরাপদ নৌ চলাচলে ব্যবহার হচ্ছে। পাশাপাশি এসকল চার্টগুলো নিয়মিত হালনাগাদ করা হচ্ছে— যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হচ্ছে।