বন্যাদুর্গতের সহায়তায় ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বিত উদ্যোগ

সমন্বিতভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একটি সমন্বিত উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বড় পরিসরে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে গত ২১ জুন সবার সমন্বয়ে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্যার্তদের পাশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন’। সমন্বিত এ উদ্যোগের সুষ্ঠু সমন্বয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) অভ্যন্তরীণ ক্রীড়াকক্ষে একটি সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সদস্যদের অংশগ্রহণে আরেকটি সভা হয়। সমন্বিত উদ্যোগ বাস্তবায়নে সভায় কমিটি গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

কমিটিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য গোলাম কুদ্দুছকে আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসকে সদস্যসচিব এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়াকে উপদেষ্টা করা হয়েছে।

এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদের সভাপতি দিগার মোহাম্মদ কৌশিক, স্লোগান একাত্তরের সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন হাসান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ সংসদের সভাপতি আরাফাত আরেফিন উৎস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের সাধারণ সম্পাদক জয় দাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় হিমু পরিবহনের সাধারণ সম্পাদক তুষার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স সোসাইটির সভাপতি মাহমুদা কবির শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির সভাপতি মো. নাজমুস সাকিব, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটির অর্থ সম্পাদক শিবলী হাসান জয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম রুবেল।

এ উদ্যোগের সদস্য সচিব অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সাম্প্রতিক বন্যা বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। এই দুর্যোগ মোকাবিলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ছাত্র-শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিতভাবে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। অতীতেও বন্যাসহ যেকোনও দুর্যোগে বা সংকটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বড় ভূমিকা রেখেছে। সেই জায়গা থেকে এবারের বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গান-কবিতা, শিল্প-সাহিত্যসহ নানা মাধ্যমের সাহায্যে আমরা টাকা তুলবো এবং দুর্গত মানুষের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করবো। ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব পর্যায়ের ব্যক্তিরাই আমাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সবাইকে নিয়ে সমন্বিতভাবে আমরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াবো।’