বাল্যবিয়ের অনুমতি দেওয়ার আদালত নির্ধারণ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোত্তম স্বার্থে বিয়ের জন্য উপযুক্ত কোর্ট কেন নির্ধারণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (২৯ জুন) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইলিয়াস আলী মন্ডল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

জানা গেছে, ঢাকার সবুজবাগের বাসিন্দা মো. মাহবুবুল আলম নিজের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার ১৬ বছরের মেয়ের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের আব্দুল বাদশা সিকদারের ২৫ বছরের ছেলের বিয়ে দিতে চান। বাল্য বিবাহ আইনের ১৯ ধারায় বলা আছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে। তবে কোর্টের অনুমতি নিতে হবে। তবে কোন কোর্টে বিয়ের অনুমতি নিতে হবে আইনে সে বিষয়ে উল্লেখ নেই।

প্রতিকার খুঁজতে মাহবুবুল আলম বাদল গত ২০ মার্চ বিয়ের বিষয়ে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। সেখানে অনুমতি না পেয়ে মেয়ের বাবা মো. মাহবুবুল আলম বাদল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, আমি মাহবুবুল আলম কন্যার পিতা দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। মৃত্যুর আগে পিতা হিসেবে সৎপাত্রে কন্যা দান করা আমার সর্বোত্তম ও শেষ ইচ্ছা। বিয়ের বিষয়টি উভয় পরিবারের পূর্ণ সম্মতিতে চূড়ান্ত হয়েছে। তাই সামাজিক-পারিপার্শ্বিক ও আমার অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উক্ত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এ জন্য আইনত অনুমতি একান্ত প্রয়োজন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই রুল জারি করেন হাইকোর্ট।