জঙ্গি নেটওয়ার্ক নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময় অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট-সিটিসিসহ বিভিন্ন মেট্রো ও জেলা পুলিশে সিটিসির মতো একটি করে ছোট ইউনিট করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের গ্রেফতার করছে। জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক নস্যাৎ করে দেওয়া হচ্ছে।’

শুক্রবার (১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের স্মৃতি ভাস্কর্য দীপ্ত শপথে নিহত দুই পুলিশ সদস্যের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে হারকাতুল জিহাদের মধ্য দিয়ে জেএমবির উত্থান হয়। পরে ইরাকে যখন আইএসের উৎপাত শুরু হয়, তখন বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বাংলাদেশের কিছু মানুষ হামিমের নেতৃত্বে হোলি আর্টিজানে হামলা করে।’

‌‘হোলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গি দমনে নতুন একটি ইউনিট খোলে। এই ইউনিটের অধিকাংশ সদস্যই ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। এছাড়া ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে অস্ত্র এবং প্রটেকশনের কথা বলা হয় বাংলাদেশকে।’

‌তিন বলেন, ‘ইউএস সরকারের পক্ষ থেকে এই রিকয়ারমেন্ট পাওয়ার পর থেকেই আপনারা লক্ষ করেছেন, চট্টগ্রামের মৌলভীবাজার ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের অনেক জায়গায় জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করে। সেই সময়কার জঙ্গিদের আস্তানা তছনছ করে দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গি দামনে আমরা আর তৃপ্তিতে ভুগি না। কারণ, এখনও জঙ্গি তৎপরতা মাঝে মাঝে চোখে পড়ছে। জঙ্গিদের সোশাল মিডিয়ায় অ্যাক্টিটিভিটিসহ সব বিষয়ে আমরা মনিটরিং করি।’

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হোলি আর্টিজানের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরে যদি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারতাম, তাহলে আজ যে পদ্মা সেতু দেখছি, মেট্রোরেল দেখছি, তার কোনও কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারতাম না। কারণ, কোনও বিদেশি টেকনিশিয়ান-ইঞ্জিনিয়ার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশে আসতেন না।’

এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন।