ছুরি-বঁটির দাম বেড়েছে

কড়া নাড়ছে কোরবানির ঈদ। ঢাকাকে ঘিরে বসেছে অস্থায়ী পশুর হাট। সেই সঙ্গে জমজমাট বিভিন্ন সরঞ্জামের বাজারও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগের তিন দিনে বেচা-কেনা বাড়বে।

খুচরা দোকানিরা জানান, এসব সরঞ্জামের দাম এবার পাইকারি বাজারেই গড়ে দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। ছোট ছুরি ছাড়া প্রতিটির দাম ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান তারা।

এসব সরঞ্জাম তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় লোহা। সেই লোহার দাম বৃদ্ধি, মজুরি খরচ ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাড়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তবে এবার কোরবানিতে তুলনামূলক বেচা-কেনা কম হচ্ছে জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেকে নতুন করে না কিনে আগের কেনা সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের জেরিন হার্ডওয়ারের মালিক মো. জুয়েল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত বছর করোনার মধ্যে যে পরিমাণ বিক্রি হয়েছিল, এবার তার অর্ধেকও হচ্ছে না। ঈদের আগের তিন দিন বিক্রি হয়তো বাড়বে, তবে তা গতবারের চেয়ে কমই হবে।

আরও তিন দোকানি জানালেন, লকডাউনের মধ্যে গত বছর কোরবানির ঈদে প্রতিদিন গড়ে ৭০০০-৮০০০ টাকার বিক্রি হয়েছে। কোনও ধরনের বিধিনিষেধ না থাকার পরও এ বছর সেটি ৫০০০-৬০০০ টাকার মধ্যে সীমিত থাকতে পারে। এখন পর্যন্ত বাজারের যা অবস্থা, তাতে এমন শঙ্কাই সবার মনে দানা বাঁধছে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, পশু জবাইয়ের ছুরি আকারভেদে এবার বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১৫০০ টাকায়। চামড়া ছাড়ানোর ছোট ছুরি ৫০-২৫০ টাকা। মাংস বানানোর চাপাতি ৪০০-৬৫০ টাকা, বাঁকা বটি ৬০০-১২০০ টাকা, হাত দা ৫০০-৭০০ টাকা এবং চাইনিজ কুড়াল ৬০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

291300833_1508175682950617_2503658947228297105_n

মায়ের দোয়া হার্ডওয়ারের মালিক মো. আলমগীর বলেন, করোনার ধাক্কা আর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষ এখনও সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি। এ কারণে আমাদের ব্যবসায়ও মন্দা।

মো. সোহাগ নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গতবার যারা বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনেছেন, তারা এবার সেগুলো কামারের কাছে নিয়ে ঠিকঠাক করছেন।

মো. জসিম নামের এক কর্মকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সারা বছর তো তেমন একটা কাজ থাকে না। কোরবানির সময় আমাদের ব্যস্ততা কিছুটা বাড়ে। অর্ডার পাওয়ায় নতুন কিছু সরঞ্জাম তৈরি করছি। অনেকে পুরাতন সরঞ্জাম নিয়ে আসছেন। সেগুলো ঠিক করে দিচ্ছি। সব মিলিয়ে মোটামুটি কাজের চাপে আছি। এখন দেখা যাক শেষ মুহূর্তটা কেমন কাটে।