হাট জমজমাট, ব্যবসায়ীরাও খুশি

বগুড়া থেকে গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ১০টি গরু নিয়ে রাজধানীর আফতাবনগরে কোরবানির পশুর হাটে এসেছেন গরুর ব্যাপারী মো. খতের আলী সরকার।

৬ ও ৭ জুলাই তার একটি গরুও বিক্রি হয়নি। তবে শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে তার ৯টি গরুই বিক্রি হয়ে গেছে। আরেকটি গরু বিক্রির অপেক্ষায় আছেন।

খতের আলী বলেন, ‘দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের গরুগুলো ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’

দাম পেয়ে খুশি কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম ভালো-মন্দ মিলিয়ে। একেবারে খারাপ না। লাভ তো হলোই।’

গাজীপুরের বরমি এলাকা থেকে এই হাটে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী মো. হেলাল।

তিনি বলেন, ‘সকালে ১০টি গরু নিয়ে এসেছি, বিকালের মধ্যে পাঁচটি বিক্রি হয়েছে।’ তিনি জানান, বড় গরুর ক্রেতা কম, সবাই তো বড় গরু নিতে চায় না।’

হেলাল আরও জানান, ‘গাজীপুরে হাট থাকলেও বেশি লাভের আশায় গরু নিয়ে আফতাবনগর হাটে এসেছেন এবং ভালো লাভেই বিক্রি করেছেন।’

শুক্রবার বিকালে সরেজমিন এই গরুর হাট ঘুরে দেখা যায় প্রচুর ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড়। আফতাবনগরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় রাস্তার দুই পাশে গরু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করা ওপরে শামিয়ানা টানানো। কিছুক্ষণ পরপর জায়গাগুলো ফাঁকা হচ্ছে। আবার একের পর এক আসছে গরু বোঝাই ট্রাক। ট্রাক থেকে নামিয়ে ফাঁকা জায়গায় এসব গরু রাখা হচ্ছে।  

কথা হয় পাবনার গরুর ব্যবসায়ী  মো. সুজাতের সঙ্গে। তার শেডটি বড় হলেও মাত্র একটি গরুর দেখা মেলে।  তিনি বলেন, ‘আজকেই সাতটি গরু নিয়ে এসেছি। এরইমধ্যে ছয়টি বিক্রি হয়েছে। বাকিটা বিক্রি হলে আজই বাড়ির পথ ধরবো।

জানতে চাইলে ইজারাদার মিজানুর রহমান ধনু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই হাটে আজ আনুমানিক ৫-৭ হাজার গরু বিক্রি হয়েছে। আজকেই সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হলো। আশা করি কাল এর চেয়েও বেশি বিক্রি হবে।’