বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, ১৫ বন্ধু রিমান্ড শেষে কারাগারে

ঢাকার দোহার উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র মৈনটঘাট এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির (২৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় ১৫ বন্ধুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার  জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত  এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— শরীফুল হোসেন, শাকিল আহম্মেদ, সেজান আহম্মেদ, রুবেল, সজীব, নুরজামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, এটিএম শাহরিয়ার মোমিন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান ওরফে জিতু।

এর আগে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুতুবপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক শামছুল আলম আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে তদন্ত শেষ না হওয়ায় আসামিদের কারাগারে আটক রাখার  আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক  এ আদেশ দেন।

গত ১৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামানের আদালত আসামিদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই মৈনটঘাটে ১৫ বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানি। পরের দিন শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৈনটঘাট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সানি বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের পঞ্চম সেশনের ছাত্র। সানির বাবার নাম হারুন অর রশিদ। বাড়ি রাজধানীর হাজারীবাগে।