অব্যবস্থাপনা দূর করতে মনিটরিং সেল করা হয়েছে, হাইকোর্টকে রেলওয়ে

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী বহন বন্ধসহ অব্যবস্থাপনার বিষয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়।

রবিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে প্রতিবেদন আকারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিকিট বিহীন যাত্রী যেন স্টেশনে ঢুকতে না পারে, সে বিষয়ে ৫০টি স্টেশনে বিশেষ ফেন্সিং করা হচ্ছে।

গত ২০ জুলাই কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনির অবস্থানের কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে এ তথ্য জানাতে বলেন আদালত। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করা হয়। 

এরপর গত ২১ জুলাই ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ করতে মৌখিক নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি ও ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধের বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আজ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন আদালত। পরে এক সপ্তাহ সময় নিয়ে রেলওয়ের গ্রহণ করা বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আদালতকে অবহিত করলো সংস্থাটি।