মেঘনায় বালু উত্তোলন

সেলিম খানের কাছ থেকে টাকা আদায়ের নির্দেশ

চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বালু উত্তোলন বাবদ পাওনা টাকা নির্ধারণ করে তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ থেকে এ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

আপিল বিভাগের ওই রায়ে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো, ২০১৬ সাল থেকে সেলিম চেয়ারম্যান বালু উত্তোলন করে সরকারের অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করেছেন। তিনি সরকারকে কোনও রয়্যালিটি দেননি। তাই সেলিম চেয়ারম্যান যে বালু উত্তোলন করেছেন, তার রাজস্ব নির্ধারণ করে সরকারের কোষাগারে সে টাকা জমা দিতে হবে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসককে রয়্যালিটি নির্ধারণ করতে বলা হলো। একইসঙ্গে সেলিম চেয়ারম্যানের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হলো।

প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট দায়ের করেছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিটের ওপর ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরপর গত ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) দায়ের করে।

পরে গত ৪ এপ্রিল চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর মামলাটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে চাঁদপুরে মেঘনার ডুবোচর থেকে সেলিম খানকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ।