লঞ্চ ভাড়া পুনর্নির্ধারণে ৭ সদস্যের কমিটি

লঞ্চ ভাড়া পুনর্নির্ধারণে সাত সদস্যের ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি দুই-একদিনের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করবে।

সোমবার (৮ আগস্ট) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত  হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন সচিব মোস্তফা কামাল।

সচিব বলেন, ‘মালিকদের প্রস্তাবিত ভাড়ার হার বেশি। এজন্য কমিটি করা হয়েছে। কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কাজ করবে ওয়ার্কিং গ্রুপ। ১০ আগস্টের মধ্যে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে। প্রজ্ঞাপন হওয়ার আগ পর্যন্ত আগের ভাড়াতেই লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করা হবে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘২০১৩ সালের পর থেকে ২০২০ পর্যন্ত লঞ্চের ভাড়া বাড়েনি। ২০২১ সালে ভাড়া যা বেড়েছে, তা খুবই কম। এখন জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যাও কম। বর্তমান পরিস্থিতিতে লঞ্চ ভাড়া বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করা হয়।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার পক্ষ থেকে লঞ্চ ভাড়া ১০০ ভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

মালিকদের প্রস্তাবে বলা হয়, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ায় খোলাবাজারে মোবিলের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। প্লেট, অ্যাঙ্গেল, প্রফেলার, ইঞ্জিনের খুচরা যন্ত্রাংশ, ওয়েল্ডিংয়ের মূল্য প্রায় ২০০ গুণ বেড়েছে। সব মিলিয়ে লঞ্চ পরিচালনের ব্যয় প্রায় শতভাগ বেড়েছে। এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে লঞ্চ পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।