ব্র্যাক ব্যাংকের এমডিসহ ৫ জনকে হাইকোর্টে তলব

আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসাইন, কুষ্টিয়ার ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, এসপি মো. খায়রুল আলম, সদর থানার ওসি মো. সাব্বিরুল আলম ও নিলামে সম্পত্তি নেওয়া ব্যবসায়ী আব্দুল রশিদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ২১ আগস্ট তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ১৫ কোটি টাকায় নিলামে বিক্রির ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিলাম সম্পত্তির মালিক শফিকুল ইসলামকে দখল বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের আদেশ অমান্যের অভিযোগের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী।

এর আগে কুষ্টিয়ার আইলচারায় অবস্থিত মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স অ্যান্ড ভিআইপি রাইস মিল ব্র্যাক ব্যাংক পোড়াদাহ শাখার কাছে ঋণ চাইলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জমির ভ্যালুয়েশন করে ৯২ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক পোড়াদাহ শাখা সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৪৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। ভিআইপি রাইস মিল সময়মতো ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অতি গোপনে অখ্যাত দৈনিক পত্রিকায় নিলামের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ওই নিলাম বিজ্ঞপ্তি স্থগিত চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত ২ আগস্ট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স, ভিআইপি রাইস মিল ও ভিআইপি ফ্লাওয়ার মিলের নিলাম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক মাসের মধ্যে ২০ কোটি টাকা ব্র্যাক ব্যাংককে দিতে বলা হয়। এছাড়া আরও  ৬ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।

কিন্তু আদালতের এ আদেশ লঙ্ঘন করে গত ৫ আগস্ট ভোরে পুলিশের সহযোগিতায় ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করা হয় কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী আব্দুল রশিদের মালিকানাধীন রশিদ এন্টারপ্রাইজের নামে। পরে ওই ঘটনায় নিলামের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়।