সাত বছর পর ভারত থেকে ফিরলেন পাচার হওয়া ৫ বাংলাদেশি

মানবপাচারের শিকার পাঁচ জনকে গতকাল ১০ আগস্ট ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সমিতির প্রধান কার্যালয় থেকে সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী ভুক্তভোগীদের নিজ নিজ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

সমিতির কর্মকর্তারা জানান, তারা সবাই কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার বাসিন্দা। ২০১৫ সালে স্থানীয় এক ব্যক্তির প্ররোচনায় ভারতের জম্মুতে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে দালালের খপ্পরে পরে পাচারের শিকার হন তারা। পরবর্তী সময়ে ভারতের পুলিশ তাদের আটক করে। পাসপোর্ট অ্যাক্টে ১ বছর ৬ মাসের জেল হলেও ৭ বছর জেলে থাকতে হয় তাদের। গত ৮ আগস্ট তারা মুক্তি পান। পরে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও স্থানীয় এক এনজিও’র সহায়তায় ওই পাঁচ জনকে বেনাপোল সিমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করান। এরপর তাদের সমিতির ঢাকার ট্রানজিট হোমে রাখা হয়।

ক্রমাগত ঘটে চলা এ ধরনের ঘটনায় অ্যাডভোকেট সালমা আলী উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এ সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

তিনি বলেন, উদ্ধার থেকে পূনর্বাসন পর্যন্ত ভুক্তোভাগী কেন্দ্রিক পরিকল্পনা প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত নিয়মিত মনিটরিং ও ফলোআপ নিশ্চিত করতে হবে। দেশে প্রচলিত মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন খুবই জরুরি, যাতে দেশের আর কোনও নাগরিক পাচারের শিকার না হন।