আমাদের কিছুটা ধৈর্য ধারণ করতে হবে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

মহামারির মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরূপ প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশেও জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তাই বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের কিছুটা ধৈর্য ধারণ করতে হবে।’

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকায় রাহাতুন্নেছা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের আগে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার জনকল্যাণে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কবলে সমগ্র বিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও পরম করুণাময়ের অসীম কৃপায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সর্বস্তরের মানুষের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯-এর টিকার সুব্যবস্থাসহ অত্যন্ত সফলভাবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক‌ওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ক‌ওমি মাদ্রাসাগুলোর সার্বিক উন্নয়নে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি ইসলামের প্রচার ও প্রসারেও সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগেই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে সর্বমোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।’

কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সৃজনশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বলেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুকন্যার গতিশীল নেতৃত্বেই সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিদ্যমান করোনাসহ সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী সমাজের বিত্তবানদের এতিমসহ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং রাহাতুন্নেছা জামে মসজিদের উন্নয়নে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।

কামাল আহমেদ মজুমদার জুমার নামাজের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।