সরকারি চাকরিজীবীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিধানের রিট খারিজ

সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না— গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (১৪ আগস্ট) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল হাই। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) (চ) ধারায় বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনও চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গমন করেছেন এবং ওই পদত্যাগ বা অবসর গমনের পর তিন বৎসর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

তবে সে বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৪ আগস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়াচর) থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল কাদের সোহেল।

রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিব, সব বিভাগের কমিশনারসহ ডিসিদের বিবাদী করা হয়।

পরে রিট খারিজের বিষয়ে আইনজীবী আব্দুল হাই জানান, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর যে কোনও ব্যক্তি সাধারণ নাগরিক হয়ে যান। কিন্তু তাদের নির্বাচন করতে সময় বেধে দেওয়া হলো কেন? এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই রিট করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল কাদের সোহেল। কিন্তু আদালত সরাসরি এ রিট খারিজ করে দিয়েছেন। কারণ সোহেল সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন না। তিনি রাজনৈতিক কর্মী। তার বিক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ নেই।