২৮টি ফসল নিয়ে গবেষণা

চাল খাওয়া কমেছে, খাবারে বেড়েছে বৈচিত্র্য

ধান, গমসহ ২৮টি ফসলের চাহিদা ও জোগান নিয়ে গবেষণা করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)। এর অধীনে দেশের কৃষি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকের নেতৃত্বে নার্সারিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের (কৃষি অর্থনীতিবিদ) সমন্বয়ে গঠিত গবেষণা দলের মাধ্যমে এ স্টাডি পরিচালিত হয়। ২০৩০ এবং ২০৫০ সালে ফসলের (খাদ্যশস্য) অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও জোগানের ঘাটতি ও উদ্বৃত্ত প্রাক্কলন করতেই মূলত স্টাডিটি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণের খাদ্য গ্রহণের তালিকা ধীরে ধীরে বৈচিত্র্যময় হচ্ছে। ১৯৯০ সালে দানাদার খাদ্য থেকে মোট ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮৯.৬ শতাংশ। যা ২০১০ সালে কমে ৮৩.০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ৮০.৫ শতাংশ হয়েছে।

১৯৯০ সালে শুধু চাল থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ছিল ৮০.৪ শতাংশ। ২০২১ সালে কমে ৭০.৫ শতাংশ হয়েছে। ২০৩০ ও ২০৫০ সালে যথাক্রমে ৭২.৬ শতাংশ এবং ৭০.৪ শতাংশ হবে বলেও জানানো হয়েছে গবেষণায়।

গম থেকে ক্যালরি গ্রহণের হার ২০১০ সালে ছিল ৬.৬ শতাংশ। ২০৩০ সালে বেড়ে হবে ৬.৭ শতাংশ। যা অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ৬.৮ শতাংশে পৌঁছাবে।

চালের উৎপাদন ও জোগানের বিষয়ে বলা হয়—২০৩০ সালে মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং অন্যান্য প্রয়োজনে (বীজ, প্রাণী ও মৎস্য খাদ্য, শিল্প, অপচয়, ইত্যাদি) চালের মোট চাহিদা হবে ৩৯.১ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ৪২.৬ মিলিয়ন টন।

বর্তমান উৎপাদন অবস্থা বিদ্যমান থাকলে ২০৩০ ও ২০৫০ সাল নাগাদ চালের মোট জোগান হবে যথাক্রমে ৪৩.২ এবং ৫৪.৯ মিলিয়ন টন।

আগামী কয়েক দশক দেশের কৃষি উৎপাদন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সেচের অভাব ইত্যাদি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেও জানানো হয় গবেষণায়। যা মোকাবিলায় অধিক উৎপাদনশীল নতুন ধানের প্রযুক্তি কৃষক পর্যায়ে জনপ্রিয় করা অত্যাবশ্যক হয়ে দাঁড়াবে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাভাবিক অবস্থা বিবেচনায় ২০৩০ ও ২০৫০ সালে উদ্বৃত্ত চালের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪.১ ও ১২.৩ মিলিয়ন টন। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতি দেখা দিলে ২০৩০ সালে ৩.৬ মিলিয়ন টন এবং ২০৫০ সালে ১.৯ মিলিয়ন টন ঘাটতি দেখা দিতে পারে।