বুয়েটে ভর্তি: পদার্থ-রসায়নে ৯৩ নম্বরের শর্ত বাতিল প্রশ্নে রুল

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের প্রতিটিতে অন্তত ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার শর্ত কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি), রেজিস্ট্রার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের প্রতিটিতে অন্তত ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। পরে সে শর্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বের বছরগুলোর বিজ্ঞপ্তিতে নম্বর উল্লেখ করে কোনও শর্ত যুক্ত ছিল না। কিন্তু শর্ত দিয়ে এবারই প্রথম শিক্ষার্থীদের ওপর এটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে বুয়েটে ভর্তিচ্ছুদের ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার শর্ত সংবিধানের ২৮(৩) ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সংবিধানের ২৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনও বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোনও নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।’

সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহারলাভ যে কোনও স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার এবং বিশেষত আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যাহাতে কোনও ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে।’