নেত্রকোনার খলিলুরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় মঙ্গলবার

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরের খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে আগামী মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার আসামি খলিলুর এখনও পলাতক। আর মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় অপর চার আসামি আজিজুর রহমান (৬৫), আশক আলী (৮২), মো. শাহনেওয়াজ (৮৮) ও খলিলুর রহমান (৭২) মারা গেছেন। 

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

মামলাটিতে প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাস গুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে গ্রেফতার তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা ও পলাতক একজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। 

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষ হয়। শুরুর দিকে এ মামলায় আসামি ছিল ৫ জন। এরমধ্যে এক আসামি রমজান আলী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বাকী চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালে তিন আসামির মৃত্যু হয়।

এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।

এর মধ্যে এক অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চার জনের মধ্যে দুই জনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪-১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চন্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।