জিকে শামীমের মামলার রায় আজ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

যুবলীগের নেতা  এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা আজ (২৫ সেপ্টেম্বর)। জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। অপরদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী তাদের খালাস প্রত্যাশা করছেন। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ এসব প্রত্যাশা করেন বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

রবিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুলের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন,‘ আসামির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীরা আদালতে এসে সাক্ষী দিয়েছে। তারা আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণে বলেছেন আসামিরা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই সাক্ষ্য, প্রমাণ, বিচার-বিশ্লেষণে আমরা আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

 অপরদিকে,আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা আশা করছি আসামিরা মামলা থেকে খালাস পাবেন। কারণ আসামিদের কাছ থেকে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে সেটার লাইসেন্স আছে। তাছাড়া অস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে তার বাসা থেকে। আসামি এই অস্ত্র দিয়ে কাউকে হুমকি দেননি।  অপব্যবহার করেননি। যদি আসামি এ অস্ত্রের অপব্যবহার করতো তাহলে অপরাধী হিসাবে বিবেচনা করা যেতো। এ ছাড়াও তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীরা কেউ বলেনি আসামিরা ক্যাসিনোতে জড়িত ছিল বা চাঁদাবাজি করতো। তাই আমরা আশা করছি রায়ে আসামিরা খালাস পাবেন।

এর আগে,গত ২৮ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— জি কে শামীমের ৭ দেহরক্ষী জাহিদুল ইসলাম,  শহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ও মুরাদ হোসেন।

২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর অস্ত্র মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে  রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাসা ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর এবং নগদ প্রায় এককোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে ৩টি মামলা করা হয়।