যশোরের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ঢাকায় গ্রেফতার

যশোরের ঝিকরগাছা এলাকার ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ নুরুজ্জামান বাবুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি  ম্যাগাজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

রবিবার (২ অক্টোবর) সকালে র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাবু যশোর এর ঝিকরগাছা থানার কৃষ্ণনগর গ্রামের মো. শহীদুল নজর আলীর ছেলে।

তিনি জানান, বাবুকে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মারামারিসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। 

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, ছোটবেলা থেকেই দলবেঁধে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পছন্দ করতো বাবু। ঝিকরগাছা এলাকায় নুরুজ্জামান বাবু ছিল এক আতঙ্কের নাম। আধিপত্য বিস্তারের জন্য অবৈধ অস্ত্রসহ সে এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিতো। ২০১৩ সালে সে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় সে। পরে জামিনে জেল থেকে বের হয়ে আবারও একই অপরাধে জড়িত হওয়ার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসা শুরু করে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যশোর ঝিকরগাছা থানা এলাকায় সে পুনরায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হলে তার বিরুদ্ধে যশোর ঝিকরগাছা থানায় মামলা হয়। ওই মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কোন্দলের জের ধরে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগ নেতা মিলন হোসেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে নুরুজ্জামান ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল যোগে মিলন হোসেনের পথ রোধ করে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। মিলন হত্যা মামলায় সে গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক জীবনযাপন শুরু করে। তার বিরুদ্ধে তিনটি অস্ত্র মামলা, হত্যা, মারামারি ও মাদক মামলাসহ মোট ১৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। 

ছাত্রলীগ নেতা মিলন হোসেন হত্যা মামলায় জামিনে মুক্ত হয়ে সে পলাতক থাকে কিছু দিন। এরপর সে রাজধানীতে আশ্রয় নেয়। ইতোমধ্যে অস্ত্র মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হওয়ায় সে আরও সতর্কভাবে আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করে।