মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দিলো হাইকোর্ট

২০১৫ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুরে গলাকেটে ভ্যানচালক কিশোর নিশানকে (১৪) হত্যার অভিযোগের মামলায় দুই আসামিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিরা হলো, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ গ্রামের সন্টু শেখ (২১) ও মো. মাহাবুব ইসলাম (২২)।

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী কে এম সারোয়ার জাহান।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় নিশান। রাতে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। পরদিন সকালে মিরপুর উপজেলার স্বরূপদহ ভাঙ্গা বটতলার কলা বাগান থেকে নিশানের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পরদিন ২৬ জুলাই নিশানের বাবা ইনামুল মণ্ডল বাদী হয়ে মিরপুর থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশি তদন্তে গ্রেফতার হয় আসামি সন্টু শেখ। পুলিশ নিশানের ভ্যান, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রশি উদ্ধার করে। পরে সন্টুর স্বীকারোক্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে অপর আসামি মাহাবুব ইসলামকে। 

এরপর পুলিশ সন্টু ও মাহাবুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২০ মার্চ রায় দেন আদালত। রায়ে কুষ্টিয়ার দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তৌহিদুল ইসলাম দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

পরে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি খালাস চেয়ে আসামিরা আপিল করে।