সেমিনারে বক্তারা

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিশ্বকে জানাতে হবে

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করে আসছে। দেশের এই জ্ঞান বিশ্বের অনেক দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং ওই সব দেশকে এ বিষয়ে জানাতে পারে সরকার।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটিজেক স্টাডিজ আয়োজিত ‘জলবায়ু কূটনীতি: বাংলাদেশের জন্য প্রতিবন্ধকতা এবং সুযোগ’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর সলিমুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি দিয়েছে জার্মানি। আমরা যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ অনেক উন্নত বিশ্বের দেশকে শেখাতে পারি, কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হয়। অন্যান্যদের এ বিষয়ে জানানোর জন্য বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশ নেতৃত্ব নিতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আগে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর দেশ হিসেবে অভিহিত করা হতো। কিন্তু এখন আমরা এটি ভালোভাবে মোকবিলা করার চেষ্টা করছি এবং ফল পাচ্ছি। ফলে এখন আমাদের ভঙ্গুর দেশ হিসাবে পরিচিত লাভের পরিবর্তে বাংলাদেশের সফলতার গল্প আরো বেশি করে বলতে হবে।’

দেশের সাফল্য অন্যকে জানানোর ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন কূটনীতিক যে দেশেরই থাকুক, তিনি যখনই সুযোগ পাবেন অন্যদেশের মানুষের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বাংলাদেশ কি করছে সে বিষয়ে বললে এটির প্রচার বেশি হবে।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিরাপত্তা ইস্যু এবং এটি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়মিত আলোচনা হওয়া দরকার।’ প্যারিস চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এজন্য উন্নয়নশীল দেশকে সুলভে প্রযুক্তি দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে বিসের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেনও বক্তব্য রাখেন।