'গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো' বিষয়ে আইসিটি বিভাগের ব্যাখ্যা অস্পষ্ট: টিআইবি

‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো' বিষয়ে আইসিটি বিভাগের ব্যাখ্যার পরও অস্পষ্টতা কাটেনি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান জানায় টিআইবি। সোমবার (১০ অক্টোবর) ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

সম্প্রতি গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশিত ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকা প্রশ্নবিদ্ধ’ শীর্ষক টিআইবির বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

ব্যাখ্যার বিষয়টি স্বাগত জানিয়ে টিআইবি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আইসিটি বিভাগের এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণায় সৃষ্ট অস্পষ্টতা কাটেনি। তাই প্রজ্ঞাপনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো অর্থাৎ নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্কে  নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য বলে টিআইবি বিশ্বাস করে—উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যুক্তি হিসেবে জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলা হলেও, জাতীয় সংসদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর তালিকায় স্থান পায়নি। ঠিক কোন যুক্তিতে বা নীতিমালার ভিত্তিতে কেবল ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হলো, তা স্পষ্ট নয়। এ কারণেও বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ১৬(৩) এর বিধানের আওতায়, প্রজ্ঞাপনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্পর্কে কোনও প্রকার তথ্য সংগ্রহ, তথ্য প্রকাশ ও মত প্রকাশকে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির বিবেচনায় ‘হুমকিস্বরূপ ও ক্ষতিকারক’ বিবেচিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি মনে করে, প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানসমূহের শুধু কম্পিউটার সিস্টেম ও নেটওয়ার্ককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা উচিত এবং তা যৌক্তিক বলে বিবেচিত হবে।