ওয়াসা প্রশাসনের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে জরুরি সভা ডেকেছে বোর্ড

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ-ওয়াসার পরিচালনাকারী বোর্ড সভা করতে চাইলে প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে নির্ধারিত সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। এ ঘটনার জেরে জরুরি সভা ডেকেছেন ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা।

প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফার সই করা একটি নোটিশে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ১০৭তম সভা (বিশেষ জরুরি) আগামী রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল ২টায় ঢাকা ওয়াসা বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হবে। বোর্ডের সদস্যদের ওই সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সভার আলোচ্যসূচি হিসেবে উল্লেখ করা হয়—‘ঢাকা ওয়াসা প্রশাসন স্বাভাবিক বোর্ড সভা করতে অসহযোগিতা করার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।’

ঢাকা ওয়াসা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বোর্ডের নিয়মিত সভা হওয়ার কথা ছিল গত ১১ অক্টোবর। কিন্তু সভার প্রস্তুতি নিতে অসহযোগিতা করে ওয়াসা প্রশাসন। সূত্র জানায়, চেয়ারম্যানের তরফ থেকে সভার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও এমডির দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) এ কে সহিদ উদ্দিন তাতে সহযোগিতা করেননি। পরে সভার তারিখ বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) নির্ধারণ করা হলেও আজ সভা হয়নি।

সূত্রের দাবি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান তার অনুপস্থিতিতে ওয়াসা বোর্ড যাতে কোনও সভা করতে না পারে সেজন্য সভাকক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফাকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিটেইলস বলতে চাই না। কিছু ঘটনা তো ঘটেছেই। একটা মিটিংয়ের ডেট আসতেছে। সব ঠিক হয়ে যাবে।’

সামনের সভায়ও বাধা দেওয়া হলে কী হবে প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না এরকম হবে না। আমরা ওয়াসা ভবনেই সভা করবো। এখন যারা দায়িত্বে আছেন তারা আশ্বাস দিয়েছেন।’

ওয়াসার কর্মকর্তারা এমন আচরণ কেন করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একেকজনের ক্ষমতার উৎস একেক জায়গায় থাকে। একেকজন মানুষের চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যে এরকম থাকে। কেউ সমস্যা করতে চাইলে করতেই পারে। আমরা চেষ্টা করছি ওয়াসাকে এটা থেকে মুক্ত করার জন্য।’

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম সহিদ উদ্দিন বলেন,  ‘এখানে একটু ইয়ে হয়েছে, ১৩ তারিখে বোর্ড সভা ছিল। একটা অ্যাকসিডেন্ট হয়েছিল। আমার দুলাভাই মারা গেছেন...। আর কী কারণে এটা হয়েছে আমি জবাব দেবো।’

রুম তালাবদ্ধ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ফালতু কথা। কই থেকে আপনারা এসব কথা শোনেন। ওয়াসার কত রুম আছে। এটা কোনও ব্যাপার! উনারা বোর্ড মেম্বার, উনারা যেখানে ইচ্ছে সেখানে বসবেন। বন্ধ করার সাহস তো কারও থাকার কথা না। যদি কেউ করেও থাকে অ্যাকশন নেওয়া হবে, সোজা কথা।’

উল্লেখ্য, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ও নিজের চিকিৎসা করাতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান।