বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা: আইনমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসার ছোট ছেলে শহদ শেখ রাসেলের স্মৃতির স্মরণে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইটে শেখ রাসেল শিশু কর্নারের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

শেখ রাসেল শিশু কর্নারে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন সংক্রান্ত, শেখ রাসেল পদক-২০২২, শেখ রাসেল দিবস উদযাপন নীতিমালা-২০২২, শেখ রাসেল পদক নীতিমালা-২০২২ এবং শেখ রাসেল ফটো গ্যালারিসহ অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে।

আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত চিরতরে মুছে ফেলতেই শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো বঙ্গবন্ধুর মতোই বাঙালি জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতেন, বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা হতেন। তাকে নিয়ে দেশ ও জাতি গর্ববোধ করতো।

মন্ত্রী আরও বলেন, শেখ রাসেল এক সাহসী, প্রাণবন্ত সত্ত্বার নাম। মানবতার এক ব্যতিক্রমধর্মী প্রতীক শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশু রাসেলকে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ঘাতকেরা। পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বরোচিত ঘটনা হলো এই হত্যাকাণ্ড, যা করতেও নির্মম ঘাতকরা কুণ্ঠিত হয়নি সেদিন।

শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তার স্মৃতি। এই স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গতবছর ১৮ অক্টোবরকে শেখ রাসেল দিবস ঘোষণা করেছে। এই দিবস বাংলাদেশের জনগণকে আদর্শ মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, যুগ্মসচিব মো. মুনিরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।