সমাজ পরিবর্তনে যুগে যুগে ‘মাইম আর্ট’ অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, মূকাভিনয় খুব প্রাচীন শিল্প। এটি ইতিহাসের আলোকে নানা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্য দিয়ে কীভাবে সমাজে পরিবর্তন ঘটায় তার বেশকিছু উদাহারণ আমাদের সামনে আছে। ফরাসি বিপ্লবের সময় কঠোর সেন্সরশিপেও মূকাভিনয় ছিল প্রতিবাদের শক্তিশালী মাধ্যম। তখন খুব কঠিনভাবে কতগুলো সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছিল। যেমন লেখনিতে, বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামেও। তখন প্যারিসের রাজপথে ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মূকাভিনয় ছিল প্রতিবাদের শক্তিশালী একটি মাধ্যম। এটি সমাজে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছিল।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিলনায়তনে ঢাবি মাইম অ্যাকশন (ডুমা) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাইম প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এরপর তিনি প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এরআগে প্রদর্শনী উপলক্ষে প্রকাশিত স্যুভেনিরের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা অ্যান্ড ড্রামাটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইসরাফিল আহমেদ এবং স্বপ্নদলের প্রতিষ্ঠাতা ও মাইম ফেডারেশনের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদ রিপন। স্বাগত বক্তব্য দেবেন ডুমা মডারেটর ড. তপন ডি রোজারিও।