ইউনিলিভারের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বাধা দূর আমদানিকারকদের

দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যাতে আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে সেই বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের রিটের ওপর জারিকৃত রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এখন থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ইউনিলিভারের পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি ও বাজারজাত করার সুযোগ পেলেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান।

পরে ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ফলে এখন থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের একচেটিয়া ব্যবসার কর্তৃত্ব খর্ব হলো। এই রায়ে এসব পণ্যের ওপর একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থার সৃষ্টি হবে। রিটকারী প্রতিষ্ঠান আশঙ্কা করেছিল যে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এসব প্রসাধনী পণ্য আমদানি সুযোগে ভেজাল পণ্য বাজারজাত হতে পারে। যাতে জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। কিন্তু আমরা বলেছি এসব আশঙ্কা দূর করার জন্য সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা পরীক্ষা নিরীক্ষা করেই এসব পণ্য বাজারজাত করার অনুমতি দিয়ে থাকে।

ইউনিলিভারের পণ্য বাংলাদেশে যেন আর কোনও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমদানি ও বাজারজাত করতে না পারে—এমন নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড। ওই রিটে এনবিআর চেয়ারম্যান, কমিশনার অব কাস্টমস, দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক এবং সাতটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, ভ্যাসলিন, নর, ডাভ, পেপসোডেন্ট টুথ ব্রাশ, ক্লোজ আপ মিল্ক ক্যালসিয়াম নিউট্রিয়েন্টসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডেড পণ্য ও খালি মোড়ক যাতে অন্য কাউকে আমদানি করতে এলসি করার অনুমতি না দেওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। যদি এই সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে ব্র্যান্ডেড পণ্যের নামে ভেজাল প্রসাধনী বাজারজাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।