সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণ : ১৩ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে নিহত ১৩ সদস্যের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

এদিন ৮টি পরিবারের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়। এর আগে একজনকে অনুদানের চেয়ে তুলে দেয়া হয়েছিল। এ নিয়ে নিহত ৯ জনের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছে।

বাকি চারজনের মধ্যে তিন জনের মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে তাদের মৃতদেহ শনাক্ত হলে তিন জনসহ আরও একজনের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।

মহাপরিচালক মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সারা বিশ্বে ১৩ জন ফায়ারফাইটারের মৃত্যু একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এই ‘অগ্নিবীর’দের বীরোচিত মৃত্যুকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। এই চেক প্রদানের মাধ্যমে তাদের পরিবারকে জানাতে চাই যে আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি।’

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া শাখার কর্মকর্তা শাহজাহান সরদার বলেন, গ‘ত ৪ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিনির্বাপনকালে ১৩ জন ফায়ারফাইটার মৃত্যুবরণ করেন। আত্মত্যাগের এ বিরল ঘটনায় সরকারিভাবে এ ১৩ জনকে ‘অগ্নিবীর’ খেতাব প্রদান করা হয়। গত ১৬ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ আত্মত্যাগকারী ফায়ারফাইটারদের ‘অগ্নিবীর’ ঘোষণা করেন।’

১৩ সদস্যের যে ৮ জনের পরিবার চেক গ্রহণ করেন, তারা হলেন, লিডার নিপন চাকমা, লিডার মিঠু দেওয়ান, লিডার মো. এমরান হোসেন মজুমদার; ফায়ারফাইটার মো. রানা মিয়া, মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মো. গাউসুল আজম এবং নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মো. মনিরুজ্জামানের পরিবার।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য দেন পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম।

আর্থিক অনুদানের চেক পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে প্রত্যেক পরিবারের প্রতিনিধিরা ফায়ার সার্ভিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।