২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে ফাঁসির সাজা দেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) এর মাজারে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রশাসকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়।
ঘটনার দিন অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৩১ জুলাই মুফতি হান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়ে মাঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালের নামও অন্তর্ভুক্ত করে আবার অভিযোগ গঠন করা হয়।
মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি ২০০৯ সালে এ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিলও করেন। দীর্ঘ ৭ বছর পর গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।
/ইউআই/এপিএইচ/এফএস/