‘দুই মাস’ পর রংপুর সিটিতে ভোট

ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে  রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনও হবে ইভিএমে এবং সব কেন্দ্রে থাকবে সিসি ক্যামেরা।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর সর্বশেষ এ সিটিতে নির্বাচন হয়। প্রথম সভা হয় ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের  মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির শুরুতে  রংপুরের নির্বাচন হতে পারে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করা হবে। তবে আমরা নির্বাচনটা সময়ের মধ্যেই করতে চাই, কোনোভাবে সময়ের শেষের দিকে করতে চাই না।’

ইভিএম ও সিসি কামেরার বিষয়ে  তিনি বলেন, ‘সেটা কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হবে। এখনই বলা যাবে না। তবে কমিশনের এগুলো ব্যবহারের একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।’

এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ইসির  অবস্থান হচ্ছে— যতগুলো সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে, সেখানে ইভিএম ও সিসিটিভি ক্যামেরা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে প্রতিটা নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা সভায় তখন এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনও সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। এক্ষেত্রে রংপুর সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট থেকে।

তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এলে পর্যালোচনা

বৃহস্পতিবার ইসির তদন্ত কমিটি সচিবের কাছে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছে।

প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর ভোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।

গাইবান্ধায় পরবর্তী নির্বাচনের বিষয় জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রিপোর্ট এখনও আমাদের হাতে আসেনি। হাতে এলে আমরা বসবো। আলোচনা করবো, তারপর সিদ্ধান্ত।’

গত ১২ অ‌ক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আস‌নের উপনির্বাচ‌নে সি‌সি ক‌্যা‌মেরায় অ‌নিয়ম দে‌খে ভোট বন্ধ ঘোষণা করে ইসি।

ক‌মি‌টি প্রতি‌বেদন জমা দি‌লেও এখনও এ বিষ‌য়ে কিছু জা‌নেন না ব‌লে উল্লেখ করেন আলমগীর।

তি‌নি ব‌লেন, ‘গত বৃহস্প‌তিবার রি‌পোর্ট জমা দিলেও এখনও সেটা নি‌য়ে বসা হয়‌নি। তাই গাইবান্ধার ভোট নি‌য়ে পরবর্তী‌তে কী হ‌বে এখনই মন্তব্য করছি না।’