দুর্নীতির প্রমাণ চেয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে ওয়াসার চিঠি

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ চেয়েছে ঢাকা পানি ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (ওয়াসা)।

ওয়াসার সূত্র জানিয়েছে, যেসব সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন সময়ে ওয়াসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে, তাদের নিজ নিজ বিষয়ে প্রমাণাদি পেশ করে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

গত ৩০ অক্টোবর শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকের সম্পাদকের কাছে এমন একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে তাদের প্রকাশিত ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের ৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের প্রমাণ চাওয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সময়ে আপনার স্বনামধন্য দৈনিক পত্রিকায় ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের মোট ৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরূপ তথ্য জনমনে ও ঢাকা ওয়াসার সম্মানিত গ্রাহকদের মধ্যে ঢাকা ওয়াসার কার্যক্রম সম্পর্কে বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে। দুর্নীতির বিষয়ে আপনার পত্রিকায় যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে মনে হয় আপনাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ আছে। দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতকল্পে ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রমাণক অত্যন্ত জরুরি।’

এতে আরও বলা হয়, ‘এমতাবস্থায়, আপনাদের কাছে যদি ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের প্রমাণাদি থাকে, তবে তা সরাসরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আকারে প্রদান করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো। নগরবাসীর সুষ্ঠু সেবা প্রদানের স্বার্থে বিষয়টি জরুরি বলে বিবেচনা করবেন। এ বিষয়ে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।’

এ বিষয়ে ওয়াসার উপপ্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক জানান, ‘সব গণমাধ্যমকে নয়, মাত্র কয়েকটি গণমাধ্যমকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওয়াসার দুর্নীতি নিয়ে যারা নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করে, তাদের এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা খুব আন্তরিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণাদি চেয়েছি। তাদের কাছে যদি থাকে, অবশ্যই এ প্রমাণ জমা দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তিন-চারটি পত্রিকাকে চিঠি পাঠিয়েছি, যারা আমাদের খবর খুব ফলাও করে প্রচার করে।’

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর প্রায় একই বক্তব্য দিয়ে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সাধারণের উদ্দেশে কয়েকটি সংবাদপত্রে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি ছাপিয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষের কাছে ওয়াসার প্রকল্পে অনিয়মের কোনও প্রমাণ থাকলে সেটি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।

সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য ও বিভিন্ন প্রকল্পে লুটপাটের অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।