পলাতক আসামিদের বিষয়ে সরকার খুব সিরিয়াস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‌‘জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই হয়েছে। ওই ঘটনায় যারা বিদেশের মাটিসহ যেখানে পালিয়ে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মামলার পলাতক আসামিদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা যখন যাকে দেশে ফেরাতে পারব, তখন আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সরকার খুব সিরিয়াস।’

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর চকবাজারে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের মধ্যে নিহত চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় চার নেতাকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জাতি দেখেছে। জেলখানা একটি নিরাপদ জায়গা, যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সেখানে হত্যাকাণ্ড! এসবে জাতি তখন থমকে গিয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা বিচারের দাবি তুলেছিলাম। দীর্ঘদিন পর প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসায় আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখতে পেলাম। শুধু সেই হত্যাকাণ্ড নয়, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডও আরও নিশংস ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পৃথিবীতে অনেক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড দেখেছি, কিন্তু পুরো বংশের লোককে হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য আমরা দেখিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দায়িত্ব নিতে পারতো, এমন ব্যক্তিদেরও হত্যা করা হলো।’

প্রতিবছর জেলহত্যা দিবসে চিহ্নিত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। কিন্তু আসলে কোনও অগ্রগতি দেখছি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পলাতক আসামিরা যেসব দেশে পালিয়ে আছে, সেসব দেশের আইন অনুযায়ী তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কিন্তু এসব দেশের সঙ্গে আমাদের অপরাধী বিনিময়ে চুক্তি নেই। এসব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব দেশে খুনিরা পালিয়ে আছে, সেসব দেশের সঙ্গে সব সময় আলাপ-আলোচনা চলছে। আশা করছি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনতে আমরা সফল হব।’

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কুশীলবদের পরিচয় জানতে কমিশন গঠনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বড় একটি কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে একটি হত্যাকাণ্ড ঘটে। এর পেছনে নির্দিষ্ট একটি উদ্দেশ্য, কুশীলব থাকেই। বিষয়টি আমলে নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে কার্যক্রম আপনারা খুব শিগগিরই দেখবেন।’