পোস্তগোলা মহাশ্মশান আধুনিকায়নের কাজ শুরু

পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশানের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে  ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ শ্মশানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে ১ কোটি ৯ লাখ টাকা খরচ করবে তারা।

বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আধুনিকায়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

উদ্বোধন শেষে মেয়র তাপস গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময় করেন।313225411_1158378845099352_9098029617375290032_n

মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, "এক কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় এখানে শৌচাগার, নতুন করে গ্যাস চুল্লিসহ আধুনিক শ্মশানের ব্যবস্থা করছি। সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে, চাহিদা নিরূপণ করে আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করছি দ্রুত এ কাজটা সম্পন্ন হবে। নির্মাণের সময় যাতে করে বিকল্প ব্যবস্থায় শ্মশানের কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়, সেটাও আমরা নিশ্চিত করব। এছাড়াও এখানে যারা থাকেন আমরা তাদেরও বসবাসের জন্য একটি ব্যবস্থা করব।"

এ সময় দখলদারিত্ব উচ্ছেদে চলমান কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, "ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন মার্কেটে বিভিন্ন চক্র বিভিন্ন সময়ে কাগজ বানিয়ে অবৈধভাবে দোকান নিয়েছে, দখল করেছে এবং তারা তাদের মতো করে এখানে নানারকম অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এতে যারা প্রকৃত দোকানদার বা ব্যবসায়ী—তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সিটি করপোরেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সকল অবৈধ দখলদার, অবৈধ দোকানদার উচ্ছেদে আমরা কার্যক্রম নিয়েছি। তারই ফলশ্রুতিতে নীলক্ষেতে অবৈধভাবে দীর্ঘদিনের দখলকৃত একশোর ওপরে অবৈধ দোকান আমরা উচ্ছেদ করছি। তবে কেউ যদি প্রকৃত দোকানদার থাকে তাহলে তাদের জন্য আমরা অবশ্যই বিকল্প দোকানের ব্যবস্থা করে দিব। প্রকৃত ব্যবসায়ী, প্রকৃত দোকানদারদের কাছে আমরা অবশ্যই দায়বদ্ধ। আমাদের অভিযান চলমান থাকবে।"

ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মেয়র তাপস বলেন, "সেপ্টেম্বরের পর থেকেই হঠাৎ করে বিভিন্ন মাত্রায় এবং থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বা ডেঙ্গু রোগের বিস্তার দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী আমরা দেখেছি, সেপ্টেম্বরের পর থেকে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার কমে আসে। কিন্তু এবার আমরা দেখছি তার উল্টো হয়েছে। আমরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটাকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম হলেও অক্টোবর থেকে সেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। আমরা আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আপনারা যদি তথ্য নিয়ে দেখেন, গতকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে মাত্র ৪৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা এখনও ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।"

এ সময় ডেঙ্গু রোগে শিশু মৃত্যু হার কমাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও বেশি সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।