এনআইডি সংক্রান্ত স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে চায় ইসি

জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম নিজেদের কাছে রাখতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে চায় নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে অফিসার্স সমিতি আছে, তারা আমাদের কাছে আবেদন দিয়েছিল। আমরা বলেছি, এটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেবো। এটার অনুলিপি হয়তো সুরক্ষা বিভাগে যাবে, এটুকু সিদ্ধান্ত ছিল।’

এর আগে ইসি সচিবালয়ের নিজস্ব কর্মকর্তাদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন’ এনআইডি সেবার কাজটি কমিশনে রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছে। গত অক্টোবরেও তারা একটি স্মারকলিপি দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর জানান, নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজটা প্রথম থেকে করে আসছে। এদের ‘অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, একটা প্রশিক্ষিত জনবল হয়েছে। এটা নিয়ে গেলে সরকারের জনবল এবং টেকনিক্যাল অবকাঠামো করতে হবে। এটি সময়সাপেক্ষও।

তিনি বলেন, ‘আমরা চিন্তা করেছি, রাষ্ট্রপতি যেহেতু রাষ্ট্রের প্রধান, আমাদেরও অভিভাবক, সরকারেরও অভিভাবক। উনার কাছে আমরা পাঠিয়ে দেবো। উনি যেটা ভালো মনে করেন।’

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশন এ বিষয়টি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাচ্ছে বলে জানান তিনি।

কমিশন থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হলেও বিদায়ী সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এককভাবে ওই সিদ্ধান্ত থেকে পরবর্তীকালে সরে এসেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল—  রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর। ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টিই আমি জানি। এর বাইরে কিছু জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা তো কোনও পক্ষ হতে পারি না। নির্বাচন কমিশন চাইবে— সবাইকে নিয়ে কাজ করবো। এজন্য তিনি (রাষ্ট্রপতি) যা ভালো মনে করবেন, সে রকম সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এনআইডির সব কিছু সরকারের কাছে গেলেও নির্বাচনে ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

দেড় দশক আগে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরির সময় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজটি নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হয়েছিল। এরপর নির্বাচন কমিশনই ছিল এর ব্যবস্থাপনায়।

এখন নির্বাচনের কমিশনের আপত্তির মধ্যেই তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে আনছে সরকার।

গত ১০ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, এনআইডির নিবন্ধন প্রক্রিয়া নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। নির্বাচন কমিশন থেকে এখন এটা সরকারে নিয়ে আসতে চাচ্ছে।’