রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় বিচক্ষণ নীতি অনুসরণের আহ্বান

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে মেরুকরণ ঘটছে। এর প্রভাব বাংলাদেশসহ সব দেশের ওপর পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে ১৭ কোটি জনগণের মঙ্গলের জন্য এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সরকারের উচিত হবে বিচক্ষণ নীতি অনুসরণ করা। এ ছাড়া যেকোনও ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান নেওয়া উচিত।

রবিবার (২০ নভেম্বর) নরওয়ে দূতাবাসের সহযোগিতায় ঢাকা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘ইউক্রেন সংকট: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য প্রশ্ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় পেনালিস্ট হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন, সংসদ সদস্য এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত্র সংসদীয় কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমিন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বাংলাদেশের সব সময় সমর্থন করা উচিত। আগ্রাসন ও বলপূর্বক কোনও দেশ যদি আরেক দেশের মানচিত্র পরিবর্তন করতে চায়, তবে বাংলাদেশের এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া উচিত।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য।

নিয়মতান্ত্রিক ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নতির জন্য একটি শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশ কোনও ছোট দেশ নয়। এ দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থনৈতিক নিরাপত্তা একটি অন্যতম বড় বিষয় এবং জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এটি হুমকির মধ্যে পড়েছে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে দেশটি অর্থনৈতিক মঙ্গল সাধন করবে এবং জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্য সংগ্রহ করবে। মূল বিষয় হচ্ছে চলমান পরিস্থিতি যেন আর খারাপ না হয় এবং সবাই যেন তাদের মঙ্গল নিশ্চিত করতে পারে।

লাইলুফার ইয়াসমিন বলেন, বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করতে হবে, যাতে কোনও ধরনের চাপের মুখে যেন কোনও পক্ষ না নিতে হয়।

সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সমশের মুবিন চৌধুরী বলেন, ১৯৯০ দশকে ইরাক যখন কুয়েত দখল করে, তখন বাংলাদেশ কুয়েতের পক্ষ নিয়েছিল এবং সৈন্য পাঠিয়েছিল কুয়েত মুক্ত করার জন্য।