আব্দুল মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকা নিয়ে রিট খারিজ

‘বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে’ দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও এরশাদ হোসেন রাশেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।

এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ রিটটি দায়ের করেন।

রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ তিনজনকে বিবাদী করা হয়।

প্রসঙ্গত, ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দিয়েছেন দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ চেয়ে গত ২১ আগস্ট একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ প্রেরণ করেন।

নোটিশে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

সেই নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে অবশেষে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।