কক্সবাজার বিমানবন্দরে গাড়ি ঢুকলেই দিতে হয় ফি!

সাধারণভাবে যেকোনও বিমানবন্দরে গাড়ি নিয়ে গেলে সেখানে পার্ক করার জন্য চার্জ দিতে হয়। কিন্তু কক্সবাজারে বিমানবন্দরে যেকোনও ধরনের যানবাহন প্রবেশ করলেই টাকা নেওয়া হচ্ছে। পার্কিং না করলেও বিমানবন্দরে যাত্রী নামাতে আসা যানবাহন থেকে ফি আদায় করা হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা।

দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে যাচ্ছে কক্সবাজারে বিমানবন্দর। দিনে ৪০টি ফ্লাইট পরিচালিত হয় এই বিমানবন্দরে। দিনে গড়ে ২ হাজার যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেন। এখানে যেকোনও যানবাহন প্রবেশ করলেই জে কে ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান প্রবেশ ফি আদায় করছে।

যানবাহন ভেদে নেওয়া হচ্ছে পার্কিং ফি। সিএনজি, টমটম, বাইকের ক্ষেত্রে প্রবেশ ফি নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা, প্রাইভেটকারসহ অন্য ভারী যানবাহনের ক্ষেত্রে নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা।

রাজশাহী থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন নূরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি হোটেল থেকে টমটমে (ব্যাটারিচালিত রিকশা) বিমানবন্দরে আসি। সঙ্গে সঙ্গে একজন লোক আসে প্রবেশ ফি নিতে। তাকে ২০ টাকা দিতে হলো। কিন্তু বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে কেন ফি দিতে হবে? যদি টমটম পার্কিং করতো, তাহলে এই চার্জ গ্রহণযোগ্য হতো।

পৃথিবীর দীর্ঘ সমুদ্রসৈকতের কাছে এই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ কাজ চলমান আছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রানওয়ে হবে এই বিমানবন্দরে। ১০ হাজার ৭০০ ফুট দীর্ঘ করা হবে রানওয়ে, যার ১ হাজার ৩০০ ফুট থাকবে সমুদ্রে। এ ছাড়া নতুন টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার কাজও চলমান আছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে যানবাহন প্রবেশ করলে চার্জ আদায় করছেন জে কে ট্রেড  ইন্টারন্যাশনালের কর্মীরা। তারা বলছেন, কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই যেকোনও যানবাহন প্রবেশ করলে ফি আদায় করা হচ্ছে।

কক্সবাজারের টমটম চালকরা বলছেন, ‘বিমানবন্দরে প্রবেশ করলেই ২০ টাকা দিতে হয়। যাত্রীদের কাছ থেকেই এই টাকা আমাদের নিতে হয়। ভাড়ার সঙ্গে অতিরিক্ত আর ২০ টাকা যোগ হওয়ায় যাত্রীরা বিরক্ত হচ্ছেন। যাত্রীরা অনেকে বোঝেন না এই ফি যে বিমানবন্দরে দিতে হচ্ছে।’

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার মো. গোলাম মোর্তজা হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিমানবন্দরে পার্কিং চার্জ আদায় করে জে কে ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। বিমানবন্দরে যেকোনও গাড়ি আসার পর তিন মিনিটের মধ্যে যাত্রী নামিয়ে চলে গেলে কোনও চার্জ নেওয়ার কথা নয়। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।’