তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ প্রস্তাব

তামকপণ্য নিয়ন্ত্রণে ৬ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুর‌্যাল পুওর (ডরপ)। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অঙ্গীকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এসব প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটি।

রবিবার (২৭ নভেম্বর) সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি সংগঠন ডরপ আয়োজিত এই সেমিনারে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেমিনারে বক্তারা যে ৬টি প্রস্তাব দেন সেগুলো হচ্ছে— ধুমপানের নির্ধারিত এলাকা বিলুপ্তি, বিক্রয়স্থলে তামাকপণ্য প্রদর্শন বন্ধ, তামাকজাত কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, তামাকপণ্যের প্যাকেটে সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি, খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধ ও ই-সিগারেট ও হিটেড তামাকপণ্য নিষিদ্ধ করা। ডরপ উত্থাপিত এই ছয়টি প্রস্তাবই সেমিনারে আলোচিত হয়।

আজীবন অধুমপায়ী ড. হাছান বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন পরিমার্জন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান। প্রস্তাবনাগুলো পরিমার্জিত আইনের খসড়ায় অন্তর্ভুক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে প্রদানের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।

ডরপ প্রেসিডেন্ট আজাহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে ও উপ-নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ যোবায়ের হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন— জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়ক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজুল হক, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস, বাংলাদেশ এর গ্র্যান্টস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিঞা প্রমুখ।