আদালতের নির্দেশনা মতে বেসিক ব্যাংক মামলার তদন্ত হচ্ছে: দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলার সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত আছে। এসব বিষয়ে অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। যে কারণে মামলাগুলোর তদন্ত কাজ শেষ করতে সময় লাগছে। তারপরও আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে তিন মাসের মধ্যে তদন্ত কাজ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দুদকের সচিব মাহবুব হোসেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পরপরই অনুসন্ধানে নামে দুদক। জামানত বিহীন জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়াসহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে। এসব অনিয়মের অভিযোগে প্রায় পাঁচ বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় আসামি করা হয় ১২০ জনকে। এর মধ্যে ঋণগ্রহীতা ৮২ জন, ব্যাংকার ২৭ ও ভূমি জরিপকারী ১১ জন।