সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিনের তোলা বিল ৬ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করা সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে স্পিকার থাকা অবস্থায় জমির উদ্দিন সরকার যেসব বিল তুলেছেন, তা ছয় মাসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সইয়ের পর ৩২ পৃষ্ঠার রায়টি প্রকাশিত হয়েছে।

রায়ে বলা হয়েছে, ‘স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ ও হুইপের কোনও বিল নিয়ে দুদক বা অন্য কোনও সংস্থা প্রশ্ন তুলতে পারবে না।’

এর আগে গত ২৫ আগস্ট ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতির পাঁচটি মামলা বাতিল করে রায় ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারোয়ার আহমেদ।

প্রসঙ্গত, বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগে দুদক এ পাঁচটি মামলা করে।

২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপসহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন।

পরবর্তীতে এই পাঁচ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন বিচারিক আদালত। তখন পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে জমির উদ্দিন সরকার হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরপর হাইকোর্ট মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।

শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট বিভক্ত আদেশ দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় বেঞ্চ রুল খারিজ করে দেন। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট রায় ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।