প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার উন্নয়ন করেছে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, প্রতিটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কল্যাণে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় হচ্ছে।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্তধর্মীয় সংলাপ’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহযোগিতায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতাবৃদ্ধিকরণ প্রকল্প’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কোনও অশুভ শক্তি যেন ধর্মের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে ধর্মীয় ও সামাজিক নেতাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’

সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাড়ানোর লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের স্থায়ী মূলধন ২১ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই প্রথম সমগ্র দেশে মন্দির ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২৬২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সারা দেশে ২ হাজার ৩৫১টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কার প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি কর্মসূচির অধীনে শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির ও শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, গোপালগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১৯৯টি মঠ, মন্দির, শ্মশান সংস্কারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং ঈদগাহ, কবরস্থান, শ্মশান সংস্কার বাবদ বিগত ১৪ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. পারভেজ মিয়া প্রমুখ।