মানবতাবিরোধী অপরাধ

ওসমান ফারুককে গ্রেফতারে আবেদন করবে তদন্ত সংস্থা

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় চারদলীয় জোট সরকারের আমলে শিক্ষামন্ত্রী ড. ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থা। একইসঙ্গে আসামিকে গ্রেফতারের জন্য দ্রুতই আবেদন জানাবে তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ধানমন্ডির কার্যালয়ে তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৮৭তম তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির প্রধান সানাউল হক বলেন, তার (ড. ওসমান ফারুক) বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। আশা করি দ্রুতই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দাখিল করতে পারবো। তারিখটা বলছি না। তবে শিগগিরই দাখিল করবো। প্রতিবেদন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানাবো।

ড. ওসমান ফারুকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে ২০১৬ সালের ৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন সানাউল হক। সেই দিন তিনি বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে পাওয়া এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে।

ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দাবি, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ওসমান ফারুকসহ ১১ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। সেখানে একটি টর্চার সেলও ছিল। ওই তালিকা অনুসারে তদন্ত করা হয়েছে।

তদন্ত সংস্থা জানায়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ওসমান গণির ছেলে ড. ওসমান ফারুক মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার ইকোনমি অনুষদের রিডার ছিলেন। অন্য ১০ জনও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা কর্মকর্তা ছিলেন।

তবে ওসমান ফারুক বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান।