ডিসেম্বরে নয়াপল্টনের নিয়ন্ত্রণ ছাড়ছে না পুলিশ!

রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থান ছাড়ছে না পুলিশ। ডিসেম্বর মাসের বাকি দিনগুলোতেও এ অবস্থান ধরে রাখার ব্যাপারে পুলিশ অনড়। যে কারণে নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনের এলাকাকে পুলিশ ‘ক্রাইম সিন এরিয়া’ ঘোষণা দিয়ে ঘিরে রেখেছে। যান ও জন চলাচলের সুবিধার্থে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে নয়াপল্টনের রাস্তা খুলে দিলেও কোনোভাবেই সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দিচ্ছে না তারা।

পুলিশের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪৭ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতদের একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ১৬ জন পুলিশ সদস্য চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,  বিএনপি যদি এখনও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তারা সোহরাওয়ার্দীতে করতে না চাইলে রাজধানীর কালশী মাঠে করতে পারে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক, রাস্তায় কোনও কিছুই করতে দেওয়া হবে না। দেশবাসীও এটা চায় না। আমরাও চাই না। তাছাড়া রাস্তাঘাট বন্ধ করে অরাজকতা সৃষ্টি হোক এটাও আমরা চাই না।

নয়াপল্টনে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়টি এখন ‘ককটেল এরিয়া’। এজন্য এটাকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। এটাকে এখন আমরা ককটেল রাখার স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছি। সেটা নিয়ে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটা পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। তিনি আরও বলেন, ওই ভবন (বিএনপির কার্যালয়ের ভবন) থেকে ককটেল ছোড়া হয়েছে পুলিশকে লক্ষ্য করে। আমরা এখনও নিশ্চিত নই, সেখানে আর কোনও বিস্ফোরক আছে কিনা। তাই এই এলাকায় ক্রাইম সিনের বিশেষজ্ঞ লোক ছাড়া অন্য কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, যতক্ষণ পুলিশের কাজ শেষ না হবে।